পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর কয়েকটি সহজ টিপস
2020/05/29 01:39 AM

একনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়াশোনা নয়

বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করো। পড়ার সময়টুকুকে ছোট্ট ছোট্ট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নাও।
প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিবে। এই সময়টুকু একদম chill! তোমার যা করতে ভালো লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবে, তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

মুখস্থ নয়, বুঝে পড়ো

ছোটবেলা থেকে আমাদের ছড়া, কবিতা ইত্যাদি দাঁড়িকমা সহ মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলার। এটি খুব ভুল একটি পদ্ধতি। অনেকেই আছে, যাদের কোন কিছুর সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে হুবুহু বই এর সংজ্ঞা গড়গড় করে বলে দিতে পারবে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে বললেই নিশ্চুপ!
Don’t just study hard, study ‘smart’
বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় এই মুখস্থবিদ্যা নির্ভরতা তোমাকে একদমই সাহায্য করবে না ভালো ফল করতে। সুতরাং বই এর সংজ্ঞা মুখস্থ করা বন্ধ করে মূল টপিকটা বুঝতে চেষ্টা করো। কেননা, মুখস্থ দশবার করলে দশবার ভুলবে, কিন্তু একবার ভালভাবে বুঝে নিতে পারলে কোনদিনও ভুলার চান্স নেই!

বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়ো

বুঝে বুঝে পড়ার একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে একই টপিক বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়া। অন্ধের হাতি দেখার গল্প মনে আছে তো? শুধুমাত্র একটি বই থেকে পড়তে গেলে তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। সুতরাং সম্ভাব্য সবরকম সোর্স থেকে শেখার চেষ্টা করো। বন্ধুদের সাথে group study করো, বিভিন্ন লেখকের বই থেকে পড়ো, বড় ভাইয়া/আপুদের সাহায্য নাও। ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই চমৎকার সব শিক্ষামূলক সাইট পেয়ে যাবে তোমার টপিকের উপর।

পড়াশোনা করার নিয়ম
10 Minute School এ তোমাদের পাঠ্যবই এর টপিকগুলো খুব সহজভাবে মজা করে শেখানো হয়, সেখানের live class গুলোয় অংশ নাও, ব্লগ/ভিডিও ব্লগ গুলো দেখো, আশা করি টপিকটা আয়ত্ত করতে তোমার একটুও কষ্ট হবেনা! পড়াশোনা যে আদৌ কোন ক্লান্তিকর কিছু নয়, বরং দারুণ মজার একটা জিনিস, 10 Minute School এর ভিডিওগুলো দেখলে খুব সহজেই বিষয়টি বুঝে যাবে তুমি।

কাউকে শেখাও

আইনস্টাইন বলেন, “একটা বিষয় তোমার পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত হবে তখনই, যখন বিষয়টি তুমি কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারবে।” পড়াশোনাকে যদি একটি গাড়ির সাথে তুলনা করো, তাহলে তুমি যখন একটি টপিক পড়লে, তখন সেটি হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। কিন্তু শুধু এটুকু দিয়েই তুমি কাউকে ঠিকভাবে বুঝাতে পারবে না টপিকটা। কেননা, কেবল ইঞ্জিন থাকলেই তো গাড়ি চলে না! গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ – চেসিস, টায়ার ইত্যাদি সব মিলে যুক্ত হয়েই তৈরী হয় একটি গাড়ি।
যখন কাউকে একটি টপিক বুঝাতে যাবে, তখন লক্ষ্য করবে শুধু বইপড়া জ্ঞান দিয়ে কাজ হচ্ছে না। ঠিক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মতো, সবগুলো ঠিকমতো জোড়া দিলে তবেই চলবে গাড়ি, সেরকম তোমার টপিকটার বিভিন্ন আঙ্গিকের উপর সার্বিক একটা ধারণা থাকতে হবে, এবং সেটা গড়ে উঠবে কাউকে শেখাতে গেলেই, টপিকটার উপর তোমার জ্ঞান অনেক গভীরে পৌঁছাবে তখন।
 
 

Study Smart

সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করে তৈরি করুন আপনার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট অর্জন করার পথ। আজই এনরোল করে শিখুন পড়াশোনা করার নিয়ম, পড়ালেখা রুটিন তৈরি এবং পড়াশোনা মনে রাখার উপায়।
 

নিবিড় মনোনিবেশ

একবার ভেবে দেখো তো, দিনে গড়ে কত ঘন্টা তুমি বইয়ের সামনে বসে কাটাও? এর মধ্যে কতটুকু সময় তোমার অখন্ড মনোযোগের সাথে পড়া হয়? খেয়াল করলে দেখবে, প্রচুর সময় হেলাফেলা করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। “জাস্ট ২ মিনিটের জন্য ফেসবুকে ঢুকবো!” “খেলার স্কোরটা দেখেই টিভি বন্ধ করে দিবো!” পড়তে বসলেই এমন অনেক ইচ্ছা কিলবিল করতে থাকে মাথার ভেতর। এই ইচ্ছাগুলো ঝেড়ে ফেলে দাও এখনই।
একই সাথে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনটিই ভালোভাবে করা হয় না। যখন পড়তে বসবে, তখন সম্পুর্ণ মনোযোগ থাকবে বইয়ের পাতায়। মনোযোগ নষ্ট করার মতো যা কিছু আছে, সবকিছু দূরে সরিয়ে রাখবে এই সময়টুকুতে। অল্প সময় পড়বে, কিন্তু ১১০% মনোযোগের সাথে পড়বে। আর বিনোদনের জন্য স্টেপ ওয়ানে বলা পাঁচ মিনিটের ব্রেক তো আছেই!

ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরী করো

আমরা সবাই বছরের শুরুতে লক্ষ্য ঠিক করি, “এইবছর ফাটায়ে পড়াশোনা করবো!” এবং বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা “লক্ষ্য” হয়েই থেকে যায়, কার্যকরী আদৌ হয়ে উঠেনা! কেন এমনটি হয় কখনো ভেবে দেখেছো? আমরা ছোট থাকতে গুরুজনেরা আমাদের খাইয়ে পরিয়ে দিতেন, নিয়মিত পড়া আদায় করাতেন। এখন তুমি বড় হয়েছো, এখন আর কেউ প্রতিদিন তোমার পড়া ধরতে আসে না। তোমার সাফল্য ব্যর্থতার দায়ভার তোমার নিজের হাতেই।
প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করো। “আমি এই টার্মে ফার্স্ট হতে চাই!” এত দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানে না গিয়ে “আমি আজকে ম্যাথ অমুক চ্যাপ্টার কমপ্লিট করবো” এরকম একদিনের প্ল্যান ঠিক করো। এবং সেটা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাল ছেড়ো না। প্রতিদিন এরকম ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে বছরের শেষে গিয়ে দেখবে সত্যিই বছরজুড়ে ফাটাফাটি পড়াশোনা হয়েছে!
 

পড়াশোনা হোক গল্পের, আনন্দের!

তুমি একদিন বাসে উঠে তোমার বন্ধুকে বললে, “এই জানিস! গতকাল কলেজের সামনে রাস্তায় কি কাহিনী ঘটেছে!” আমি বাজি ধরে বলতে পারি, বাসের সবাই সাথেসাথে কান খাড়া করে ফেলবে “কি কাহিনী ঘটেছে” সেটা শোনার জন্য! কারণটা খুব সোজা, আমরা সবাই গল্প শুনতে ভীষণ ভালবাসি!

পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায়
পড়াশোনাকে যখন সংজ্ঞা/ফর্মুলার নীরস জায়গা থেকে গল্পের ছাঁচে ফেলতে পারবে, দেখবে জিনিসটা আসলে কত মজার! গণিতের “x=?” এর সমাধান যেন গোয়েন্দা কাহিনীর “কে সেই কালপ্রিট?” বের করার মতোই! “ব্রেকিং ব্যাড” এর কল্যাণে রসায়নের ফর্মূলাগুলো তো এখন সবাই আগ্রহ নিয়েই শিখে!

মন বসে না পড়ার টেবিলে, আছে কি পড়ায় মন বসানোর উপায়?

অবশ্যই আছে! একটি না, দুইটি না, অনেকগুলো পড়ায় মন বসানোর উপায়ই আছে। পড়তে বসলেই আমাদের মন এদিক ওদিক উঁকি দিয়ে অন্য দুনিয়ায় মজে যায়। মাঝখান দিয়ে পড়াশোনা চলে যায় গোল্লায়!  তাই পড়ার প্রতি ‘মনোযোগ বৃদ্ধিতে’ কি কি করা যায় –

Study Music

ছোটবেলায় যেমন ঘুমপাড়ানি গান শুনলে ঘুম চলে আসতো তেমনি কিছু সুর পড়ার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ পড়ার টপিকে কেন্দ্রীভূত করার কাজটি করে থাকে। ফলে অন্য কোনো চিন্তা থাকে একশ’ হাত দূরে। ইউটিউবে স্টাডি মিউজিক লিখে সার্চ দিলেই এমন অসংখ্য মিউজিক পেয়ে যাবে। পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে এগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়।  এখন থেকে তবে পড়ায় মনোযোগ না বসলে যেকোনো একটি Study Music চালু করে পড়তে বসো।

Think Big, Start Small

তুমি নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ  একটানা পড়াশোনা করার চেষ্টা করো, কিন্তু মনোযোগ হারিয়ে যাওয়ায়  তা আর সফল হয় না।  তাই এখন থেকে  ছোট একটি সময় নির্ধারণ করে পড়া শুরু করো। প্রথম কয়েকদিন ২০ মিনিট পড়ো, তারপর ১০ মিনিট বিরতি নাও। এরপর আবার ২০ মিনিট পড়ো ও আবার বিরতি নাও।
ধীরে ধীরে,কয়েকদিন পর ৩০ মিনিট, এরপর ৪০ মিনিট, এরপর ৫০ মিনিট- এভাবে সময়টিকে বাড়িয়ে নাও এবং নিজের ‘মস্তিষ্ককে অভ্যস্ত করাঙ্গো’। দেখবে তুমি ঠিকই একটি সময় পরে একটানা পড়তে পারছো।

পর্যাপ্ত ঘুম

একজন মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে মস্তিষ্ক ঠিকমত কাজ করে না এবং মনোযোগও কমে যায়। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম সম্পন্ন করতে হবে (ঘুমটি বাসায় সম্পন্ন করবে, ক্লাসে না!)

Upcoming Event

অনুসরণীয়

 

  • সকলকে মাস্ক পরে আসতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে।
  • নখ ছোট করে আসতে হবে।
  • বিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  • প্রত্যেকে নিজস্ব ব্যবস্থায় নিরাপদ পানির বোতল সাথে রাখতে হবে।
  • বিদ্যালয়ে অবস্থান কালিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
  • যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
  • শ্রেণি শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের শ্রেণি ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করবেন,  স্বাস্থ্যগত দিক ও সমস্যা প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করবেন এবং তথ্য অবহিত করবেন।
  • সময়ের ব্যবধানে হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের পোশাক প্রতিদিন সাবান পানি দিয়ে জীবানুমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের আসার প্রস্তুতিতে গোসল/স্নান করে আসতে হবে।
  • বাড়ি বা বসতিতে কারো করোনা লক্ষন থাকলে ঐ শিক্ষার্থী তাদের করোনা নেগেটিভ হলে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।
  • কোন ভাবেই অসুস্থতাজনিত লক্ষন নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাবে না।
  • বিদ্যালয়ের ব্যবহার্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মত (নিরাপদ) হতে হবে।
  • বিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনে বহিরাগতদের প্রবেশ স্বাস্থ্য সম্মত নয়।

Academic Class Level

Class Level

---------------------------

  • Junior Secondary ( Six to Eigh ) 
  • Secondary Nine to Ten ) 

Institute Facilities

Facilities

-------------------------

  • Computer Lab  ►
  • Multimedia classroom  ►
  • Science Labs  ►
  • Cafeteria  ►
  •  

Special Attention for Every Students

পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর কয়েকটি সহজ টিপস

একনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়াশোনা নয়
বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করো। পড়ার সময়টুকুকে ছোট্ট ছোট্ট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নাও।
প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিবে। এই সময়টুকু একদম chill! তোমার যা করতে ভালো লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবে, তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

Study Tour